Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ট্রেন্ট বোল্ট ‍A Untold Story



ট্রেন্ট বোল্ট ‍A Untold Story





ট্রেন্ট আলেকজান্ডার বোল্ট (Trent Alexander Boult) জন্ম: ২২ জুলাই, ১৯৮৯)

নিউজিল্যান্ডের রোতোরুয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বোল্ট বামহাতি মিডিয়াম ফাস্ট ও ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

মূলতঃ তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের ওপেনিং বোলার।

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯ বছর বয়সে ২০০৭ সালে নিউজিল্যান্ড 'এ ' দলের হয়ে ভারতীয় 'এ ' দলের বিরুদ্ধে চেন্নাই -তে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক করেন।

পরে ২০০৮ সালে তিনি অনূর্ধ্ব -১৯ বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তারপর তিনি ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন।

টেস্ট অভিষেক

নিউজিল্যান্ড দলে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে হোবার্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল।

বোল্টের প্রথম টেস্ট উইকেট ছিল মাইকেল হাসির এবং ১৯৮৫ সালের ঐ ম্যাচে তিনি চারটি উইকেট নেন---

হোবার্টে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ক্রিকেট টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় নিউজিল্যান্ড ৭ রানে বিজয়লাভ করে

যা ১৯৮৫ সালের পরে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম এবং ১৯৯৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম।
পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে দশম উইকেট জুটিতে ক্রিস মার্টিনের সাথে মূল্যবান ২১ রান সংগ্রহ করেন।

ইংল্যান্ড,ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উইকেট শিকার করার কারণে তার ক্যারিয়ারের বেশ ভাল শুরু হয়েছিল।

তার গৌরবময় মুহূর্তটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বেসিন রিজার্ভের দ্বিতীয় টেস্টে আসে, যেখানে তিনি প্রথম ১০ টি উইকেট শিকার করেন।

এই কৃর্তির জন্য বোল্ট তার প্রথম ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরষ্কার পেয়েছিলেন।

তিনি টেস্ট ক্রিকেটে দুর্দান্ত সময় অব্যাহত করছিলেন, কারণ ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচে ১০ উইকেট নেন--

এবং ঐ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড (১-০) ব্যবধানে জিতেছিল।

২০১৪ টি২০ বিশ্বকাপ,বাংলাদেশ


টেস্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বোল্টকে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল।

দুইটি-টোয়েন্টিতে খেলার সুযোগটি পেয়েছিলেন এবং দুটি ম্যাচে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন।

তিনি টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন।

ক্রাইস্টচার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সাত উইকেট অর্জন করেন এবং নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট ম্যাচ জিততে সহায়তা করেন।

২০১৪ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজে ওয়ানডে দলে ফিরে আসেন

২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ


অফ সুইং ও লেগ সুইং দক্ষতার কারণে নির্বাচকরা তাকে ২০১৫ বিশ্বকাপের জন্য দলে যোগ করেন।

বোল্ট ২০১৫ বিশ্বকাপে ২২ টি উইকেট নিয়ে যৌথ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন।

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ ৮ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য বোল্ট-সহ ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে নিউজিল্যান্ড দল গ্রুপ-পর্বে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ খেলায় অংশগ্রহণ করে।

বোল্টের নিজস্ব সেরা ও (৫/২৭) অসামান্য বোলিং নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়া দল মাত্র ১৫১ রানে গুটিয়ে যায়।

খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের জয়ে তার অবদান অনস্বীকার্য, ঐ ম্যাচে তিনি ২৮ রানে ৫ উইকেট নেন।

ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চার উইকেট ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনটি উইকেট শিকার করেছিলেন।

বল হাতে বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম আকর্ষণীয় নতুন প্রতিভা হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন।

যদিও বোল্ট একটি মাত্র বিশ্বকাপ খেলেছেন, তবে তিনি নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে।

নিশ্চিতভাবে বলা যায়, তিনি বর্তমানে তাদের নেতৃত্বদাতা এবং ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন

ট্রেন্ট বোল্ট সত্যই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের একটি সম্পদ।

একদিবসীয় অভিষেক


২০১২ সালে বাসেতে-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এর বিরুদ্ধে একদিবসীয় ক্রিকেটে অভিষেক করেন।
আন্তর্জাতিক টি২০ অভিষেক

২০১৩ সালে অকল্যান্ড-এ ইংল্যান্ড-এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে অভিষেক করেন।

Post a Comment

0 Comments