ইসলামের দৃষ্টিতে বিভিন্ন দিবস > বার্থ ডে , ভ্যালেন্টাইন ডে, পহেলা বৈশাখ
বার্থ ডে বা জন্ম দিবসঃ
ইসলাম হচ্ছে পালনীয় একটি ধর্ম, এটি কোন প্রথা সর্বস্ব ধর্ম নয়। তাই জন্ম দিবস বা মৃত্যু দিবসের নামে পালনীয় এতে কিছু নিই । এটি মূলতঃ ইউরোপীয় একটি কালচার । কিন্তু আমাদের দেশে আজ জন্ম দিবস পালনের নামে যে বাড়াবাড়ি পরিলক্ষিত হচ্ছে তা সত্যিই বড় উদ্যেগজনক। জন্মদিনে মোমবাতি জ্বালানো কেক কাটা,ছবি তোলা,গান-বাজনা করা, নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশাসহ আরো যেসব কর্মকান্ড সংঘটিত হয় তা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। পশ্চিমা এই রীতি-নীতি পরিহার করা ঈমানের দাবি।
ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালবাসা দিবসঃ
আমাদের দেশে বেশ কয়েক বছর যাবত আরেকটি অপসংস্কতির আমদানী হয়েছে যা আস্তে আস্তে শারীনতার মাত্রা ছড়িয়ে যাচ্ছে। তা হচ্ছে ভলবাসা দিবসের নামে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা আর বেহায়াপনা ও বেলেল্লাপনার চরম নোংরামী । অথচ এটী হচ্ছে খৃষ্ঠানদের নিজস্ব একটি কালচার।এই কালচারকে বাংলাদেশের মত মুসলিম প্রধান দেশে রপ্তানী করে এখানকার সামাজিক মূল্যবোধ এবং নৈতিক চরিত্রের অক্ষয়ের চূড়ান্ত ব্যবস্তা গ্রহন করা হয়েছে। অনুরূপভাবে ক্রিসমাস ডে তথা বড় দিন যেটি কিনা খৃষ্ঠানদের একান্ত ধর্মীয় বিষয় সেটি নিয়েও এখানে কম মাতামাতি হচ্ছেনা। অথচ মুসলমানরা একথা চিন্তা করছেনা যে, এটি কাদের সংস্কতি, ইসলামের সাথে এর কি আদৌ কোন সম্পর্ক আছে? ইহুদী-খৃষ্ঠানদের অন্ধ অনুকরণ আজ মুসলিম সমাজকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে!!
পহেলা বৈশাখ ঃ
পহেলা বৈশাখ নববর্ষ পালনের নামে যা কিছু হচ্ছে সেটিও হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি। ইসলামের দুশমন, নামধারী কিছু বুদ্বিজীবী এটাকে বাঙ্গারী সংস্কৃতির লেবেল লাগিয়ে বাঙ্গালী যুবক-যুবীদেরকে এর প্রতি উদ্ধব্ধ করে হাজারো অপকর্মের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পহেলা বৈশাখে ঢাকার রমনা পার্কসহ অন্যান্য স্থানে যে বেলেল্লাপনা আর নির্লজ্জতার সয়লাবে আমাদের দেশের আবাল-বৃদ্ব-বনিতা গা ভাসিয়ে দিচ্ছে তা দেখে মনে হয় ইবলীসেরও লজ্জা পায় । সে হয়ত ভাবে যে, এই জাতিকে গোমরাহ করার জন্য আমার আর কোন প্রয়োজন নেই। এসব অপসংস্কৃতির প্রতিরোধ করতে না পারলে এই জাতির চারিত্রিক অবক্ষয় কোন ভাবেই ঠেকানো যাবে না।
0 Comments